নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনির চুইবাড়ি বেড়িবাঁধ সংস্কারে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমফান ও ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জরুরি মেরামতের জন্য ২ টি প্যাকেজের আওতায় ৮০০ মিটার বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করার জন্য গত ৪ মাস পূর্বে অনুমোদন দেয় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড -২।যারমধ্যে ৪০০ মিটার বেড়ীবাঁধের কাজের দায়িত্ব পান খুলনার জাকির ও ৪০০ মিটার কাজ সাতক্ষীরার ইউনুস ঠিকাদার।
৭/১,৭/২ ও ৪ নং পোল্ডারের এই দুটি কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সকল কাজ সম্পন্ন হলেও প্রতাপনগর ইউনিয়নের চুইবাড়ি বেড়িবাঁধের ৮০০ মিটার কাজ নামে মাত্র মাটি ও নিম্নমানের জিও দিয়ে ফেলে রেখে গেছেন ঠিকাদার।একাধিক সুত্রে জানা যায়, খুলনার জাকির ও সাতক্ষীরার ইউনুস ঠিকাদার ৮০০ মিটার কাজ মাত্র ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে চুক্তি করে দেন খালেক নামক এক সাব ঠিকাদারের কাছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গণমাধ্যমকে জানান, উভয় ঠিকাদার সাব ঠিকাদার খালেককে চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় শ্রমিকরা কাজ করছেনা।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি সাব ঠিকাদারকে টাকা কম দেয়ার কারণেই এই অবস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেন তার ঘনিষ্ঠ লোক কে দিয়ে এই কাজগুলো করিয়ে থাকেন।আলমগীরের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে
সোনাতনকাটি, রুয়েরবিলে ২ টি প্যাকেজ।বিছটে ৫ টি প্যাকেজ তার ঘনিষ্ঠ খুলনার বিপ্লব ও জাকিরের মাধ্যমে করেছেন বলে বেড়ীবাঁধের এই দুর্দশা।সোনাতনকাটি ১৯ লক্ষ টাকার কাজ সাবঠিকাদারের কাছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও জিও রোল বাবদ ১ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে দেন মূল ঠিকাদার জাকির।এলাকাবাসীর প্রশ্ন ১৯ লক্ষ টাকার কাজ যদি চার লক্ষ টাকায় করা হয় তবে কাজের গুণগত মান কোথায় যে দাঁড়ায়? এই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বাঁধা দেয় আলমগীর।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার আলমগীর কবির ও তার সহকারী অনুপ দাশের বিরুদ্ধে কয়েকবার মানববন্ধন করেছেন প্রতাপনগর ও তার আশপাশের এলাকাবাসী।তাদের দাবি অতীতে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ অনেক কিছু হলেও অবৈধ অর্থের বিনিময়ে পার পেয়ে যায় সে। তার হাত থেকে উপকূল বাসী বাঁচতে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।