• আজ- সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শ্যামনগরে চুরি হওয়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ  শ্যামনগরে মন্দির থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  শ্যামনগরে ডিজিএফআইয়ের সহযোগিতায় পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার  শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন ও উপকূল সাংবা‌দিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে জামায়াতের ইউনিট সভাপতি শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে নিখোঁজ মিজানের লাশ নদীর চর থেকে উদ্ধার শ্যামনগরে তেলপাম্পে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ওজন কম দেওয়ায় জরিমানা শ্যামনগরে ভূয়া গোয়েন্দা সদস্য আটক শ্যামনগরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১

শ্যামনগরে নামফলকে শহীদের নাম থাকলেও স্বীকৃতি পায়নি ২৮টি শহীদ পরিবার

রিপোর্টারঃ / ৩৬৮ বার ভিজিট
আপডেটঃ শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

জি এম মাছুম বিল্লাহ : স্বাধীনতার ৫২বছর পেরিয়ে গেলেও স্বীকৃতি পায়নি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর ও সিংহড়তলী গ্রামের ২৮টি শহীদ পরিবার। নির্মাণ করা নামফলকে তাদের নাম থাকলেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বরনাপন্ন হয়েছি আমরা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কয়েক বার তদন্ত হয়েছে। শেষমেষ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করলেও আমরা জানিনা সবশেষ অবস্থা, এমনটাই জানাচ্ছিলেন নিহত হাজারী লাল মন্ডলের ছেলে যতিন্দ্রনাথ মন্ডল।বারী সানা ছেলে রাশেদ বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পেরিয়ে গেলেও কোন নিদর্শন নেই। সরকারি ভাবে নির্মিত হয়নি স্মৃতি ফলক। দুঃখের বিষয় হল দেশের জন্য জীবন দিয়েও এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি জোটেনি তাদের কপালে। সেদিনের সেই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে গুণধর বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,যে দিন খানসেনাদের হাতে বাবা শহীদ হয়েছেন সেদিন থেকে সব হারিয়েছি এখন চাওয়া পাওয়া কিছু নেই শুধু তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত ১৯৭১সালের ১৪ই এপ্রিল সোমবার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হরিনগর ও সিংহড়তলী গ্রামে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দুটি গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে সেখান থেকে তেত্রিশ জন নিরপরাধ মানুষকে ধরে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাদেরকে আইবুড়ী নদীর চরে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। সেখানেই ২৮ জন প্রাণ হারায়। তাদেরকে পার্শ্ববর্তী আই বুড়ি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।ঐ দিনের হামলায় নিহত হন,হরিনগর গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, নিলশ্বর মন্ডল, জিতেন্দ্র নাথ মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল, খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, রামেশ্বর মন্ডল, কালিপদ মন্ডল, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, ডাক্তার বিহারীলাল মন্ডল, অধর মন্ডল, অধীর মন্ডল, বিপিন, মহাদেব, মহাদেব,দাউদ গাজী, হাতেম গাজী, আদম গাজী, সৈয়দ গাজী, বিপিন পাঠনি, আব্দুল বারী সানা, ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস,মুন্সীগঞ্জ গ্রামের অধীর, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল ও কৃষ্ণপদ গাইন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান ৫জন তারা হলেন,গিরেন মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, বৈষ্ণব মন্ডল ও সূর্যকান্ত মন্ডল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একই স্থানে এতগুলো মানুষের প্রাণহানির একটি স্মৃতিফলক নির্মিত হোক এমনটাই প্রত্যাশা এই উপকূলের মানুষের। শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম রাতুল বলেন, বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে আমি নতুন এসেছি।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (দুপুর ১:৩৩)
  • ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)