বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে বন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ১০ জন জেলে,১৫ টি নৌকা ও নৌকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক আবু নাছের মোঃ মহসিনের তথ্য অনুসারে গত সোম ও মঙ্গলবার (৩০ ও ৩১ শে জানুয়ারি) সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অভিযান চালায় বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম। এ সময় তিনি অভয়ারণ্যে ঘোষিত দোবেকী, পুষ্পকাটি, নটাবেকী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন জেলে সহ ১৪টি নৌকা আটক করতে সক্ষম হন। একই সময়ে হলদিবুনিয়া ফরেস্ট অফিসের ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান অভিযান চালিয়ে ৩জন জেলেসহ ১টি নৌকা আটক করে।
আটককৃত জেলেরা হলেন,শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের আবু মুছা ছেলে মহিউদ্দীন, ১০ নংসোরা গ্রামের মৃত করিম তরফদারের ছেলে আব্দুল হক ও আব্দুল হাই তরফদার, উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের আলামিন মোড়লের ছেলে আবুল কালাম,হান্নান শেখের ছেলে শামীম শেখ ও শাহাজান শেখ, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আরশাদ উদ্দীন গাজীর ছেলে নুরী আলম গাজী, হাবিবুর গাজীর ছেলে আব্দুল হান্নান গাজী ও তৈয়বুর রহমান। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের খালেক ফকিরের ছেলে জহুরুল ইসলাম। এসময়ে আটককৃত জেলেদের নিকট হতে ১০০কেজি মাছসহ মাছ ধরা সরঞ্জাম জব্দ করে বন বিভাগ।
এবিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ডি এফ ও স্যারের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে অভয়ারণ্য এলাকায় কিছু অসাধু জেলে প্রবেশ করেছে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী হলদিবুনিয়া অফিস ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের পৃথক অভিযানে ১৫টি জাল নৌকা জব্দ ও ১০জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করতে সক্ষম হই। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রতিবাদককে জানান, সুন্দরবনে বন বিভাগের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। প্রতিটি অফিসের পাশাপাশি স্মার্ট টিম বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও বর্তমান সময়ে বাঘ গণনার প্রকল্প চলমান। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দরবনে সকল ধরনের অপকর্ম রুখে দিতে। সাংবাদিকসহ সচেতন মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। দুদিনের অভিযানে আটককৃতদের বন আইনের পিওআর মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।