বিশেষ প্রতিনিধি: সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলায় ৮শ’ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার(১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় যুব সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের এর উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।শতাধিক তরুণের উপস্থিতিতে হাতে নানা ধরনের প্লাকার্ড সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে তারা টেকসই বেড়িবাঁধ দাবি করে।মানববন্ধনে এহসানুল মাহবুব তানভীর এর সভাপতিত্বে ও ফুহাদ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শরুব ইয়ুথ টিমের পরিচালক এস এম জান্নাতুল (নাঈম)বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক নূরউদ্দীন সরদার।মানববন্ধনে উপকূলীয় তরুণ হাসিবুল হাসান বলেন, সাতক্ষীরা সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী তলদেশ উচ্চ হচ্ছে। ফলে পানির উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে নদী রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নোনা পানিতে ডুবে যাচ্ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষ। সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ৬০এর দশকে নির্মিত ভেড়িবাঁধ রয়েছে ৮শ’ কিলোমিটার। ৬০ দশকের পরে আর বেড়িবাঁধ সেভাবে মেরামত করা হয়নি। এবছর বেশির ভাগ বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। তারপরও ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে জরাজীর্ণ অবস্থা। আবার এই জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধে ৩৫টি পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের তরুণ রাসেল,সবুজ,বিল্লাল, মিকাইল জানান, উপকূল এলাকার মানুষ ভাল নেই। আইলা, সিডর, আম্পানের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে এই জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ দিয়ে। নোনা পানির কারণে তাদের এলাকায় হয় না কোন ফসল। নেই কোন কর্মসংস্থান। এর মধ্যে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নোনা পানি তাদের সব শেষ করে দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে তাদের এলাকার ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের, পুকুর, জমির ফসল। ভেঙ্গে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি। এখনও তাদের পুকুরে নোনা পানি। ঘরে খাবার নেই। তারা সর্বস্ব হারিয়ে সরকারের দেওয়া ত্রাণ খেয়ে বেঁচে থাকে। তারা আর ত্রাণ চায় না, তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ।