• আজ- রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দ্বিতীয় মেয়াদে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিলাল ও  সম্পাদক মাছুম শ্যামনগরের উন্নয়নে কাজ করতে চাই-রনী খাতুন নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামনগরে নবাগত ইউএনও’র সাথে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ  শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ কাঙ্ক্ষিত গেটলক সার্ভিস চালু হচ্ছে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর রুটে  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ  বনবিভাগের অভিযানে হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ  শ্যামনগরে পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকায় চলছে বরফকল শ্যামনগরে কোস্টগার্ড ও পুলিশের অভিযানে অস্ত্র গোলাবারুদসহ আটক-১ বনবিভাগের অভিযানে ডাকাতের কবল থেকে অপহৃত ১০জেলে উদ্ধার, গুলি বিনিময়

পশ্চিম সুন্দরবনে সক্রিয় হরিণ শিকারিরা, বিশ্বস্ততা অর্জনে ক্রেতাদের সামনে জবাই

রিপোর্টারঃ / ৪৮৪ বার ভিজিট
আপডেটঃ বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩

জি এম মাছুম বিল্লাহ নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বের ঐতিহ্য সুন্দরবনে আবারো সক্রিয় হরিণ শিকারিরা। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করলেও কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী জীববৈচিত্র হারতে বসেছে।শীতের শুরুতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরনের হরিণ শিকারিরা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও তা মানছে না চিহ্নিত হরিণ শিকারিরা। প্রতিনিয়ত গভীর সুন্দরবন থেকে ফাঁদ পেতে ও চোরাই বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার করছে শিকারিরা। এসকল পেতে রাখা ফাঁদে অনেক সময় বাঘ সহ সুন্দরবনের অন্যান্য প্রাণী বেধে মারা যায় বলে জানাযায়।রিতিমত প্রশাসনের সাথে চিহ্নিত হরিণ শিকারি সদস্যদের সক্ষতা চোখে পড়ার মত। তাদের সাথে চুক্তিতে হরিণ শিকারে নেমে পড়ে শিকারিরা। যে কারণে হরিণ শিকার করে পার পেয়ে যাচ্ছে চোরা শিকারিরা। বনবিভাগের সদস্যরা হরিণ শিকারিদের ধরতে অভিযানে যাওয়ার আগে খবর পেয়ে সর্তক হয় চক্রটি। বনবিভাগের অভিযানে হাতে নাতে কয়েকটি পাচারকারিসহ চোরাকারবারিদের যানবহন আটক করলেও আইনের ফাকফোকড়ের দিয়ে বের হয়ে এসে আবারও নেমে পড়ে হরিণ শিকারে।সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী বনবিভাগের কাছে হরিণ শিকারিদের ৪ ষ্টেশনে ১০৮ জনের একটা তালিকাও রয়েছে। তার মধ্যে কোবাদক ষ্টেশনে ৩০ জন, বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশনে ৪২ জন, কদমতলা ষ্টেশনে ২০ জন, কৈখালী ষ্টেশনে ১৬ জন। তালিকা ছাড়াও আরো অনেকে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানাযায়। এছাড়া হাতেনাতে ধরা যায় না বলে কোন ব্যাবস্থাও নিতে পারেন বলে জানান বনবিভাগ কর্মকর্তা।চড়া দামে হরিণের মাংস বিক্রয় হওয়ার কারণে ক্রেতাদের বিশ্বাস করাতে চোরা শিকারিরা জীবান্ত হরিণ শহরের পারে এনে ক্রেতাদের সামনে করা হচ্ছে জবাই। জবাই করা হরিণের ছবি তুলে বাইরের ক্রেতাদারে কাছে পাঠানো হয় বিশ্বাসের জন্যে। যে কারণে হরিণের মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, এ মাংস নেওয়া থেকে বাদ পড়ছে না প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।চোরাকারবারিরা হরিণ শিকার করে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪ ষ্টেশনের আওয়াতাধীন কোবাদকের গোলখালি, ঘড়িলাল, গাবুরা, নাপিত খালি। বুড়িগোলিনীর ষ্টেশনের গাবুরার ৯ নং সোরা, ডুমুরিয়া, ১৪ রশি দাতিনাখালির মহসিন সাহেবের হুলা ও চেয়ারম্যান মোড়। কদমতলার ষ্টেশনের মুন্সীগঞ্জ মৌখালী, সরদার বাড়ি, হরিনগর বাজার ও চুনকুড়ি। কৈখালী ষ্টেশনের পাশ্বেখালি, টেংরা খালি, কালিঞ্চি, ভেটখালি ও কৈখালী সহ চোরা শিকারিদের সুবিধা মত রুট ব্যবহার করে থাকে।পরিবেশবিদ মোহন কুমার মন্ডল বলেন, প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। অচিরেই যদি হরিণ শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করা যায় তাহলে প্রাণী শূন্য হবে সুন্দরন।সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরি বলেন, আমরা সব সময় সজাগ আছি। বিশেষ করে হরিণ শিকারিদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তথ্য পেলে তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতিমধ্যে কায়েকটা হরিণ শিকারিকে আটক করে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (রাত ৪:০৫)
  • ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)