শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে বেড়ীবাঁধ নির্মাণে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ২০৯০ মিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।সরজমিনে দেখা যায়, বেড়ীবাঁধ নির্মাণে শ্রমিক ব্যবহার না করে এস্কেভেটর মেশিনের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির আড়াই হাজারের অধিক গাছ কেটে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন ইন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।নির্বিচারে গাছ কাটার ব্যাপারে আল মামুন ইন্টারপ্রাইজের ফিল্ড ইন্জিনিয়ার রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গাছ কেটে নিয়ে জায়গা ফাঁকা করে দিয়েছে। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে গাছ কেটে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল গাজী বলেন, সরকারি মেঘা প্রকল্পের কাজের জন্য বেড়িবাঁধের রাস্তা নির্মাণে প্রচুর পরিমাণে মাটির প্রয়োজন। ওই মাটি নেওয়ার সময় বেড়ীবাঁধের উপর থাকা গাছ কেটে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গাছ কাটার ব্যাপারে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে কাটা গাছ গুলো হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নির্বিচারে গাছ নিধনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে গাছ কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেড়ীবাঁধ নির্মাণে শ্রমিকের অপ্রাপতা থাকার কারণে এস্কেভেটর দিয়ে কাজ করায় কিছু গাছ কাটা পড়ছে এটা সত্য তবে গাছগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেজুলেশন করে গাছ গুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকাগুলো জমা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেড়িবাঁধের কাজের জন্য গাছ কাঁটা হয়েছে। তবে গাছগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করার জন্য চিঠি ইস্যু করার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষ বলেন, বেড়ীবাঁধের পাশে থাকা গাছ বেড়িবাঁধকে রক্ষা করে। নির্বিচারে যদি এই বেড়িবাঁধ রক্ষার গাছ নিধন করা হয় তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাবুরায় ইউনিয়ন সহজেই প্লাবিত হয়ে যাবে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন গাবুরা ইউনিয়নবাসী।