ঈদে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়
জি এম মাছুম বিল্লাহ শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: ঈদুল আযহার আনন্দ উদযাপনে শ্যামনগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন সব বয়সী মানুষ। ঈদের দিন আবহাওয়া অনুকূলে নাথাকায় একেবারে ফাঁকা ছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তবে ঈদ পরবর্তী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত সুন্দরবন পিকনিক কর্নার, রাজা প্রতাপাদিত্যের জমিদার বাড়ি,হাফসিখানা, ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বরীপুর শাহী মসজিদ,সুশিলন,বরসাসহ আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার তৃতীয় দিনেও দর্শনীয় স্থান সমূহতে লক্ষ্য করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। শনিবার (১লা জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যায়,ঈদে বাড়তি আনন্দের খোরাক হিসেবে সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে প্রানবন্ত দর্শনীয় স্থান সমূহ। তবে অন্যান্য বারের মত সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাহিরে থেকে আসা বিভিন্ন দর্শনার্থীরা। প্রসঙ্গত গত ১লা জুন থেকে সুন্দরবনে মাছ, বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বনবিভাগ। সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, নীলকমল, দুবলা, আলোর কোল, হিরণ পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট ও কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে পর্যটক প্রবেশাধিকারেও নিষেধাজ্ঞা দেয় বনবিভাগ। খুলনার ডুমুরিয়া, যশোরের ঝুমঝুমপুর থেকে আসা মফিজুর রহমান ও আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতি ঈদে আমরা বন্ধুরা মিলে সুন্দরবন ভ্রমনের উদ্যেশে আসি। অনেক টাকা খরচ করে এসেছি,কিন্তু এবার সবকিছু ভন্ডূল হয়েগেছে। এখানে এসে একটু ওয়াচ টাওয়ারে উঠে সুন্দরবন দেখবো তারো উপায় নেই। গত কয়েক বছর ধরে ফুটট্রেল সাথে সংযোগ নেই ওয়াচ টাওয়ারের। টাওয়ারে উঠতে না পেরে বিরুপ মন্তব্য করেছেন অনেক পর্যটক। আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ বলছেন, নদী ভাঙ্গনের ফলে ফুটট্রেল নদী গর্ভে চলে যায়। ওয়াচ টাওয়ারের সাথে ফুটট্রেলের সংযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।