শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: অভয়ারণ্য থেকে আটক করা নৌকা বিক্রয়ের প্রতিবাদ করায় সহকর্মীকে বেদড়ক পিটানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত (২৪ শে জুন) পুস্পপাটি অভয়ারণ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এস এম রাশিদুল হাসান (ফরেষ্টার) ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বুড়িগোয়ালীনি গ্রামের আজগারে জামাই আলামিনের কাছে গোপনে ১টি নৌকা বিক্রয় করে। এ ঘটনা জানতে পেরে বিএম সাইফুল ইসলাম (৫৩) মামলার নৌকা কেন বিক্রয় ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে অন্য স্টাফদের আঁতাত করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত (২৯ শে জুন) রাতে তাকে ডেকে রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএম আশরাফুল আলম ও বিএম আতিকুর রহমান বিএম সাইফুল ইসলামকে গরানের কচা দিয়ে বেদড়ক মারপিট শুরু করে। মারপিটের এক পর্যায় মাটি পড়ে যান সাইফুল। সেখান থেকে তাকে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী রুমে আটকে রাখে তারা। পরে সাইফুল ইসালাম বিষয়টি বুড়িগোয়ালিনি ষ্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলমকে অবগত করলে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানান। পরবর্তীতে বিভাগীয় বন সংরক্ষক আবু নাসের মোহাম্মদ মোহসিনকে অবগত করলে তার নির্দেশে বুড়িগোয়ালিনি ষ্টেশন থেকে নুরুল আলম ও হাবিবুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এবিষয়ে বিএম সাইফুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। সহকর্মীদের এমন আচরণে হতবাক সাইফুল ইসলাম বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ বিষয় বিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, আটক রাখা নৌকা চুরি করে বিক্রয় করার প্রতিবাদ করাতে তারা আমাকে মারপিট করে রুমে আটকে রাখে। পরে বিভাগীয়ও কর্মকর্তার সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে। এখন আমি শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি আছি। সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করা বুড়িগোয়ালিনি ষ্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, ডিএফও স্যারের নির্দেশে পুস্পকাটি যেয়ে জানতে পারি যে বাবুর্চির সাথে তার মারামারি হয়েছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি ও তাকে চিকিৎসা করতে বলি। পুস্পকাটি বনটহল ফাড়ির দায়িত্বে থাকা এস এম রাশিদুল হাছানের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসির্ভ করেননি।সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরি বলেন, সাইফুল ইসলাম আমাকে অবগত করিনি, তবে বিষয়টা শুনেছি। তার বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক অভিযোগ আছে। সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় কারণে সেটা ডেকে দেওয়ার কারণে ওটা করছে। এটা আমাদের ডিপাটমেন্টের বিষয়, বাইরে তো বলার কথা না। এটা আমরা দেখবো।