• আজ- রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শ্যামনগরে বছরের পর বছর জলাবদ্ধ শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‎ সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত তালায় যুবদল নেতাকে গলা কেটে হ*ত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন: গাজী আল ইমরান সভাপতি, রুবেল সম্পাদক, জুলেট সাংগঠনিক সম্পাদক ‘উপকূলবন্ধু’র মুখোশ উন্মোচন: এনজিওর নামে অনুদান আত্মসাত, খাস জমি দখল ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মোস্তফা নুরুজ্জামান শ্যামনগরে সেনা অফিসার পরিচয়ে ভূমি দখলের অভিযোগ  শ্যামনগরে স্বাধীনতার ৫৫তম বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি ২৮ টি শহীদ পরিবারে শ্যামনগরে সিসিডির সহযোগিতায় হতদরিদ্রদের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ সামগ্রী বিতরণ শ্যামনগরের সোয়ালিয়া খাল পুনঃখনন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন  সাত নৌকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যে বনবিভাগের 

একসাথে জোড়াবাঘ দেখে আতঙ্কিত চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের বন কর্মকর্তারা

রিপোর্টারঃ / ৭১৮ বার ভিজিট
আপডেটঃ শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি: একসাথে জোড়াবার দিকে আতঙ্কিত সময় পার করেছে পূর্ব সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনাধীন চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তারা। সম্পূর্ণ রাজকীয় ভঙ্গিমায় দুপুরে পুকুরে নেমে মিষ্টি পানি পান করে সুন্দরবনের বাঘ ও বাঘিনী। পানি পান ও বিশ্রাম শেষে শান্ত ভঙ্গিতে বনে প্রবেশ করলো আবার। কিছুক্ষণ পর বাঘ দুটি সামান্য পথ ঘুরে অবস্থান নিলো পূর্ব সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনাধীন চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস রান্না ঘরের পাশে। রাত ১২টা অবধি তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। আর এতেই নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বনরক্ষীরা। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটা থেকে ওই অফিস চত্বরে এমন ঘটনা ঘটে।চান্দেশ্বর ক্যাম্পের বনরক্ষী তরুণ মজুমদার জানান, দুটি বাঘ তাদের দুপুর থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা দরজা খুলতেও ভয় পাচ্ছেন। রান্না ঘরে প্রবেশ করতে না পারায় সেই দুপুর থেকেই রয়েছেন না খেয়ে। সুন্দরবনে অনেক বছর চাকরি করলেও তারা এর আগে এমন পরিস্থিতির শিকার হননি। অফিস এলাকায় লোকজনের মধ্যে বাঘের এমন অবস্থান তাদের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। চান্দেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্প ইনর্চাজ ফারুক শেখ মুঠোফোনে জানান, শুক্রবার দুপুর দুইটা থেকে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ফরেস্ট অফিস ও বনরক্ষীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে।তিনি জানান, প্রথমে পুকুর পাড়ে বাঘ দুটি দেখে তারা ভয় পান। পরে অপর চার বনরক্ষী দ্রুত বাসায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। বাঘ দুটি পুকুরে নেমে পানি পান শেষে কিছু সময় পুকুর পাড়ে বিশ্রাম নেয়। পরে সামান্য পথ ঘুরে এসে অবস্থান নেয় রান্না ঘরের পাশে। সেই থেকে আতঙ্কিত এবং অবরুদ্ধ তারা। এমনকি অফিস কক্ষেও প্রবেশ করতে পারছেনা। রান্না ও খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। বাঘ দুটি রাত ১২টার দিকেও কখনো পুকুর পাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে আবার কখনো রান্না ঘরের পাশে এসে বিশ্রাম নিচ্ছে। এমন বিরল দৃশ্যের ছবি ধারণ করতে গিয়ে তাদের হাত-পা কাঁপছিলো। বাঘ দুটি তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বাঘের এমন আচরণের বিষয়টি শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।এ ব্যাপারে শরণখোলা রেঞ্জকর্মকর্তা সামসুল আরেফিন জানান, সুন্দরবনের মধ্যে বনবিভাগের অফিস থাকলেও সাধারণত বাঘ এ রকমের আচরণ করেনা। এক জোড়া বাঘ বিকেল থেকে চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। টিন পিটিয়ে শব্দ করা হলেও বাঘ দুটি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। রাতের মধ্যে সরে না গেলে সকালে ফায়ারিং সাউন্ড করা করা হতে পারে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (রাত ১১:৪৫)
  • ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
  • ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)