বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাসিক মিটিংয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথায় বলায় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে।
বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানাযায়, বুড়িগোয়ালিনী ইউপির ৪ ,৫ ,৬ , নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য উমা রানী গত (৮ মার্চ) শুক্রবার মাসিক মিটিংয়ে দুর্নীতির কথা তুলে ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে
৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুকুন্দ কুমার পাইক বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে উমা রানীকে চুপ করতে বলায় চেয়ার থেকে ছুটে এসে প্রথমে মাথার চুল ধরে ওয়ালের গায়ে ধাক্কা মারে। এরপর উমারানি চিৎকার দিলে মুখ চেপে ধরে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করতে গেলে উপস্থিত চেয়ারম্যান বাধা সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের কাছে উমা রানী বিচার চাইলে চেয়ারম্যান বলেন স্থানীয়ভাবে মিটমাট করার জন্য সুপারিশ করেন। চেয়ারম্যানের বিচার আমার মনোপূত হয়না সেজন্য শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করছি।
অভিযোগে উমা রাণী আরো জানান, দীর্ঘ দুই বছর আমি ইউনিয়ন পরিষদের সকল সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত আছি।
ঘটনাস্থলে থাকা ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান বলেন, উমা দিদি জোরে কথা বলার কারণে হঠাৎ মুকুন্দ দাদা তাকে মাথার চুল ধরে ধাক্কাধাক্কি করে এর পরে গলা ও মুখ চেপে ধর। বিষয়টা খুবিই দু:খজনক।
অভিযুক্ত মুকুন্দ পাইক বলেন, উমা রাণী পরিষদের মধ্যে গালিগালাছ করার করণে আমি এয়ারকি করে তার মুখ চেপে ধরে ছিলাম।
বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, মারপিটের কোন ঘটনা করিনি। উমা রাণী গালিগালাছ করার কারণে ইউপি সদস্য মুকুন্দ পাইক তাকে মুখ চেপে ধরেছিল।