এফএনএস স্পোর্টস: টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান বিশ্বক্রিকেটে যতটা নিয়মিত, বাংলাদেশ দলের জন্য ততটাই বিরল। এই মাইলফলকের দেখা মেলে এখানে কদাচিৎ। তবে ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যরে সীমানা বাড়িয়ে নেওয়ার দায়িত্ব যার, সেই জেমি সিডন্সের দৃষ্টিতেও নেই এই স্কোর। বরং বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের মতে, ১৬০-১৭০ রান নিয়মিত করলেই বেশির ভাগ ম্যাচে জিতবে তাদের দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে, দুইশ ছাড়ানো স্কোর এখন আর নিরাপদ নয় অনেক সময়ই। তবে বাংলাদেশ দুইশর দেখা পায় না দুই বছর ধরে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে ৬৭ ইনিংস আগে ব্যাট করে মাত্র দুইবার ২০০ ছুঁতে পেরেছে বাংলাদেশ। অন্য দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিপক্ষরা নয়বার ২০০ রান করলেও রান তাড়ায় বাংলাদেশের জয় স্রেফ ১টি। অস্ট্রেলিয়ায় সমান বাউন্স ও বল দারুণভাবে ব্যাটে আসার উইকেটে এবারের বিশ্বকাপেও বড় স্কোরের খেলা হতে পারে। তবে দুইশ রানে তাকিয়ে মোহাবিষ্ট নন সিডন্স। ব্রিজবেনে রোববার দলের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ শোনালেন দলের বোলিং আক্রমণের ওপর ভরসার কথা। “নিউ জিল্যান্ডে (ত্রিদেশীয় সিরিজে) কেবল একটি স্কোর ছিল দুইশ ছাড়ানো। ২০০ করা নিয়ে তাই আমাদের ভাবনা নেই। আমরা যদি ১৬০-১৭০ নিয়মিত করতে পারি, আমাদের বোলিং আক্রমণ দিয়ে আমরা ম্যাচ হারার চেয়ে জিতবই বেশি। আমার মনে হয় না, এখানে ২০০ দরকার আছে। কালকেও ২০০ দরকার হবে না, বিশ্বকাপেও ২০০ রানের স্কোর খুব একটা জরুরি হবে না। ১৭০-১৮০ এখানে হবে আদর্শ স্কোর।” “আমরা যদি ১৭০ করতে পারলে আমরা খুবই খুশি থাকব। আমাদের বোলিং আক্রমণের জন্য এটা যথেষ্ট হবে।” মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচেই ক্রাইস্টচার্চে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ১৭৩ রানের পুঁজি নিয়েও। গত মাসে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রান নিয়েও হেরে গিয়ে তাদের অভিযান শেষ হয় গ্রুপ পর্ব থেকে। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে সোমবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে ৯ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দেড়শ ছাড়াতে পেরেছে কেবল একবার।