নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর বিয়ের প্রলোভনে ২ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের খোসালখালি গ্রামের আনছার মালির ছেলে মনিরুল ইসলাম (২২) এর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের স্বীকার হওয়া আরিফা (ছদ্দনাম) ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্তের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় বিয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করত বলে জানান ভুক্তভোগী। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাচ্চা(ভ্রুন) নষ্ট করার জন্য মনিরুল স্থানীয় একটি দোকানে ঔষধ কিনতে যায়। দোকানদার এই ঔষধ কি করবে জানতে চাইলে সে কোন সদ উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসা করলে সে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। তাদের মাধ্যমে জানতে পেরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। ঘটানার বিষয় ভিকটিম বলেন, আমার সাথে ২ বছরে মত প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যয় বিয়ে করবে বলে শাররীক সম্পর্ক করে। এখন আমার পেটে ২ মাসের বাচ্ছা এই বাচ্ছা নষ্টা করার জন্যে ওষুধ কিনেতে গেলে। আমি বাচ্ছা নষ্ট না করতে চাইলে। মনিরুল আমাকে বিয়ে করতে অস্বিকার করে এবং মেরে ফেলার একটা হুমকি দেয়। বিষয়টা আমার বাড়িতে জানাই । এখন যদি মনিরুল বিয়ে না করে তাহলে আমার মারা যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। ভিকটিমের মা জানান, মেয়ের সাথে আনছার মালীর ছেলে মনিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়টা আমরা কেউ জানতাম না। যখন জানতে পারি তখন ছেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে ছেলেসহ তার পরিবার বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এখন মেয়েটি মানসিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি এই প্রতারকের সুষ্ঠ বিচার চাই। অভিযুক্ত ধর্ষক মনিরুলে বাবা আনছার মালি বিষয়টা স্বিকার করে বলেন, আমার ছেলেকে ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো বলে কথাবার্তা চলছে। রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকার কথা বললেন অভিযুক্তের বাবা।স্থানীয়ও ইউপি সদস্য গাজী আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি উভয় পক্ষের কাছে শুনে ঘটনার সত্যতা পাই এবং তাদের আইনের আওতায় যেতে বলি। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।