শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাঁধায় কথিত পীর মিজান ও তার মাদ্রাসা ভাংচুর থেকে রক্ষা পেয়েছে।
শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারী) জুমার নামাজের পর কয়েকশ মুসল্লী উক্ত মাদ্রাসাকে ‘ভন্ড পীরের আস্তানা’ আখ্যায়িত করে গুড়িয়ে দিতে অগ্রসর হলে পথিমধ্যে তাদের আটকে দেয় উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।
এর আগে ঘোষনা দিয়ে উক্ত মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে উপজেলার বংশীপুর থেকে কয়েক শত মুসল্লি উক্ত মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লিরা যোগ দিতে থাকে পদযাত্রায়। একসময় কয়েক হাজার মুসল্লি মাদ্রাসার নামে অইসলামিক কর্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে পীর দাবিকারী মিজানুর রহমান একজন ভন্ড বলে আখ্যায়িত করেন। শিরক ও বিদআতমুলক কাজে মিজান অভ্যস্ত দাবি করে উপজেলা বাতিল প্রতিরোধ কমিটি ও ওলামা পরিষদ শুক্রবার বিকাল তিনটায় মিজানের মাদ্রাসা অভিমুখে পদযাত্রা ঘোষনা করে।জানা যায়,উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তখালী গ্রামে উক্ত মাদ্রাসা অবস্থিত। প্রায় ২০ বছর পুর্বে মাওলানা আব্দুস সবুরের প্রতিষ্ঠিত ঐ মাদ্রাসার দায়িত্ব পাওয়ার পর মিজানুর রহমান সেখানে নানা ধরনের কুফরী কার্যক্রম চালুসহ নিজেকে ‘পীর’ দাবি করে বসে। পরবর্তীতে আব্দুস সবুরসহ অন্যান্য ওলামা মাশায়েখরা মিজানকে ভন্ড ঘোষনা করলে তার আস্তানাকে গুড়িয়ে দিতে একে একে নানা কর্মসুচি দেয় স্থানীয় মুসল্লিরা।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান জানান, আল্লাহ তাকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়ায় তিনি নিজের মত করে মাদ্রাসা চালাচ্ছেন। তাকে মাদ্রাসা থেকে তাড়াতে ষড়যন্ত করছে কিছু মানুষ।
উপজেলা বাতিল প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক হাফেজ মোখলেছুর রহমান জানান, নিজেকে পীর দাবি করে ভন্ড মিজান নিজের আস্তানায় নানান ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড করছে। বাইতুল মোর্করমের খতিব আব্দুল মালেক মিজানকে ভ্রষ্ঠ আখ্যা দিয়েছে। সোমবারের মধ্যে আইনী পদক্ষেপ নেয়া না হলে তার আস্তানা ধ্বংস করা হবে বলেও তিনি ঘোষনা দেন।শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান মুসল্লিদের কাছে মিজানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ লিখিত আকারে প্রমানসহ দিতে বলা হয়েছে।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে প্রশাসন চেষ্টা করছে। আইনকে কারও নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিমাংসায় দু’পক্ষকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।