• আজ- শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শ্যামনগরে বছরের পর বছর জলাবদ্ধ শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‎ সাতক্ষীরায় অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত তালায় যুবদল নেতাকে গলা কেটে হ*ত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন: গাজী আল ইমরান সভাপতি, রুবেল সম্পাদক, জুলেট সাংগঠনিক সম্পাদক ‘উপকূলবন্ধু’র মুখোশ উন্মোচন: এনজিওর নামে অনুদান আত্মসাত, খাস জমি দখল ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মোস্তফা নুরুজ্জামান শ্যামনগরে সেনা অফিসার পরিচয়ে ভূমি দখলের অভিযোগ  শ্যামনগরে স্বাধীনতার ৫৫তম বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি ২৮ টি শহীদ পরিবারে শ্যামনগরে সিসিডির সহযোগিতায় হতদরিদ্রদের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ সামগ্রী বিতরণ শ্যামনগরের সোয়ালিয়া খাল পুনঃখনন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন  সাত নৌকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যে বনবিভাগের 

শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ লক্ষ মানুষের ঢল

রিপোর্টারঃ / ২২৫ বার ভিজিট
আপডেটঃ রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনপদ শ্যামনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৩শে ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মী সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় মহিলা কর্মী সম্মেলন, যেখানে হাজার হাজার নারী কর্মী অংশ নেন। তারা জামায়াতের আদর্শ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিজেদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দুপুরের পর থেকে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো নেতা-কর্মীদের ঢল নামে, যা সমাবেশকে এক অভূতপূর্ব জনসমুদ্রে পরিণত করে। বিকাল পর্যন্ত চলা এই সমাবেশে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
উপজেলা আমীর মাওলানা আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “বিগত সাড়ে ষোল বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারেনি। এমনকি তিন-চারজন একসাথে বসলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনা, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়। সরকার গঠনের পর তাদের প্রধান এজেন্ডা ছিল জামায়াতে ইসলামীর অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করা। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাসহ ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে বিনা অপরাধে ফাঁসি ও বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও জামায়াত ও শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে, ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। আজকের এই বিশাল সমাবেশ তারই প্রমাণ।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা এই আন্দোলন নির্মূল করতে চেয়েছিলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আজ তাদের দলই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই, হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে ঘুমন্ত আলেমদের ওপর নির্মম গুলি চালানো ও হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। ক্ষমতায় আসার পর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত খুনিরা আজও ধরা পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
বিভিন্ন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকেই মুক্তি পেয়ে গেছেন, অথচ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনও মুক্তি পাননি। তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় মুক্তির দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার করতে হবে। বাংলার জনগণ আর কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ মেনে নেবে না। সরকারের উচিত শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্যাহ, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, মাওঃ আজিজুর রহমান, শেখ নুরুল হুদা, মাহবুবুল হক, প্রভাষক ওমর ফারুকসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তারা সবাই জামায়াতের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও কর্মপন্থা তুলে ধরেন। একই সাথে বক্তারা সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান।
শ্যামনগর উপজেলার উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং সরকারের কাছে দাবি জানান, “শ্যামনগর উপজেলার অবহেলিত মানুষদের উন্নয়নে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এই অঞ্চলকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করার জন্য জামায়াত নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।”

নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে দলের কর্মীরা নতুন উদ্দীপনায় কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবেন। হাজার হাজার কর্মীর সরব উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখে নেতারা অত্যন্ত আশাবাদী যে, সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে এবং জনগণের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (রাত ৩:৫৫)
  • ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
  • ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)