শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামে কিশোরী প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবুসহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে প্রেমিক আসাদুজ্জামান বাবু ওই কিশোরীর সাথে দেখা করবে বলে মোবাইল ফোনে বাইরে ডাকে। দুজনে দেখা করে কথা বলার একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে আসাদুজ্জামান বাবু ওই কিশোরীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এদিকে শারীরিক সম্পর্ক শেষে বন্ধুদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে ওৎপেতে থাকা একই গ্রামের লিয়াকত মল্লিকের ছেলে মেজবাহ উল ইসলাম (২২) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম (২১)কে ফোনে ডাকে। বিষয়টি সন্দেহ হলে ওই কিশোরী প্রাণ ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আসাদুজ্জামান বাবু, তার বন্ধু মেজবাহ ও শাহীন তাকে ধরার জন্য পিছনে ধাওয়া করে। ওই কিশোরী লোকলজ্জার ভয়ে হাকচিৎকার না করে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী মাজেদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে মাজেদের সহযোগিতায় ভোরে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করা হয়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা নিজ বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি এজাহার দ্বায়ের করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী কিশোরী ঘটনার বর্ণনায় জানান, ‘আসাদুজ্জামান বাবুর সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক। শনিবার রাতে সে ফোন করে মাদ্রাসার ওখানে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে আসাদুজ্জামান বাবু আমার সাথে অবৈধ কাঝে লিপ্ত হয়। সে সময় বাবুর দুই বন্ধু এসে বলে দোস্ত আমরাতো দেখে ফেলেছি, তাহলে আমাদেরও দে। তখন আমি ভয় পেয়ে ওদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই’। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে’।