স্টাফ রিপোটার: তালা উপজেলার ইসলামকাটি সাব-রেজি অফিসের দলিল লেখক মো. খলিলুর রহমান ও নকল নবিশ মেহদী হাসান বাচ্চুর বিরুদ্ধে জরিপের ডিপিপর্চা জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল রেজি: অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাব- রেজিস্টার মো. মইনুল হক তদন্ত করার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, শিরাশুনি গ্রামের আব্দুস সামাদ শেখৃ কর্তৃক লিখিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন,তালা উপজেলার শিরাশুনি মৌজার জরিপের ডিপি খতিয়ান ৮৫, ১৬৪৫,৩৯৫ সাবেক দাগ নং ২৯৪৮,২৯৪৭,২৯৪৬। এরমধ্যে ৮৫ ডিপিতে জমি ০,০১৬শতক, ১৬৪৫ ডিপিতে ০,০৭ শতক, ৩৯৫ ডিপিতে সাবেক দাগ নং ২৯৪৬,২৯৪৭ হালদাগনং ৫০৯৫ জমি ১৮ শতক, ৮৫ ডিপিতে মালিক আনার আলী মোড়ল,পিতা শরিতুল্য মোড়ল, ১৬৪৫ ডিপিতে মালিক সরফুল ইসলাম পিতা বাবুরালি মোড়ল, ৩৯৫ ডিপিতে মালিক আব্দুস সামাদ শেখ, নিয়ামত আলী সেখ, পিতা আনছার আলী শেখ, গ্রাম শিরাশুনি।
উক্ত ডিপিতে এস,এ প্রজা সবুরজান জং বাহের সরদার গ্রাম হিজলডাংগা কেশবপুর যশোর, এর ওয়ারেশ প্রতা নুরোল ইসলাম সরদার, ও পুতনী হোসনেয়ারা বেগমের নাম জরিপের উল্লেখিত ডিপি পর্চায় না থাকলেও তাদের নাম জালিয়াতির মাধ্যমে ডিপি পর্চায় বসাইয়া জমিরেজিষ্টি করেন। যার দলিল নং ৫১৯ তারিখ ৩-১০-২০১৯ দাতা নুরুল ইসলাম হিজলডাংগা গ্রহিতা নকল নবিশ মেহেদী হাসানবাচ্চু,জমির পরিমান ০,০৮০ পয়েন্ট দলিল লেখক মোঃ খলিলুর রহমান, লাইঃ নং ০৭/২০০৯। দলিল নং ৩২৮১তাং ৩০-১০-২০১৯ দাতা নুরুল ইসলাম এবং হোসনেয়ারা বেগম গ্রহিতা মেহেদী হাসান বাচ্চু, দলিল লেখক মোঃ খলিলুর রহমান জমির পরিমান ০,০৩ শতক। অপরদিকে জরিপের ডিপি পর্চা পরষ্পর জালিয়াতির মাধ্যমে যোগসাজশে রেজিঃ করার পর গুন্ডাবাহিনীদ্বারা দোকানপাট ফ্রন্টফেজের জমি জবর দখল করেছেন বাচ্চু। বাঁধাদিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের এবং জীবন হানির সম্ভাবনা রয়েছে। বির্তকিত একজন প্রতিনিধি লক্ষাধিক টাকা নেয় মিমাংশা করার নামে। কিন্তু মিমাংসার পরিবর্তে সহিংসতা বৃদ্ধি করেন তিনি। এমন কি লক্ষাধিক ঘুষ গ্রহনের টাকাও ফেরৎ দেননি। মেহেদী হাসান বাচ্চু জানান, জমিক্রয়ের পর মিসকেস করি ৪২/ ক ধারায় ২৭-৯-২০২০ কারিখের রায়ে ডিপি খতিয়ানে তারনাম বসিয়েছেন।৩০ ধারায় নুরুল ইসলামের পিতা মফেজউদ্দীন পিং বাহের সরদারের নামে ডিপি ৩৯৫ খতিয়ানে ৯ নং কলামে দখল নোট আছে। এব্যাপারে দলিল লেখক মোঃ খলিলুর রহমানের নিকট জালিয়াতির মাধ্যমে ডিপি পর্চা সৃষ্টি করে জমি রেজিঃ বিষয় তিনি জানান, কাগজপত্র নিয়ে আসে যারা জমি বিক্রি করেন এবং যারা কেনেন এস,এ রেকর্ড ওয়ান লাইনে চেক করা হয় মিউটেশন চেককরা হয় কিন্তুু ডিপি খতিয়ান এখনও কোন কোন মৌজা অনলাইনে না থাকায় চেক করা সম্ভব হয়না সেকারন কোনটি জালিয়াতি করা বুঝা কঠিন। কিন্তুু দলিল লেখকদের লাইসেস্ন এ শ্বর্তাবলিতে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে কাগজপত্র যাচাই করে দলিল লিখতে হবে এক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটানো হয়েছে। উক্ত ডিপিতে নেয়ামতের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র কুদ্দুস শেখ এর নিকটথেকে ০,০২,৩০ শতক জমি ক্রয় করেন ২৪-১-২০১৮ তারিখে। তারপর মিসকেস করে ডিপি সঠিক করা হয়েছে। দলিল রেজিঃ করার সময় ডিপি জালিয়াত করা হয়েছে। এবং বোনের সম্পত্তি রেজিঃ করে দোকানপাট জবর দখল সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার সূত্রপাত তৈরী করা হয়েছে। জালজালিয়াতি কাগজপত্রের মাধ্যমে জমি রেজিঃ এবং মিউটেশন করে জনগনের জানমাল অনিরাপদ করা হচ্ছে।