আটুলিয়া (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: আমরা গরিব মানুষ আমাদের অভিযোগের কোন দাম নেই,আমাদের মোরা মানুষগায় কবর নুনা পানির উপরে ভেসতি এ কথা গুলো আবেগ বিজড়িত কন্ঠে বলছিলেন শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালাক্ষী গ্ৰামের বাসিন্দা মুনজিলা বেগম । উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিড়ালাক্ষী এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষীদের কাছে বিক্রি করছেন একই এলাকার মোঃ আব্দুল হাই, নামের এক ব্যাক্তি চিংড়ি চাষের ঘেরের কোন আউটড্রেন না থাকায় ওই এলাকার মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এলাকার মানুষের মিষ্টি পানির পুকুর থেকে শুরু করে সবজির খ্যাত এমনকি তাদের মৃত্যু ব্যাক্তির কবরের উপরেও পানি উঠে গেছে। দীর্ঘদিন এলাকার প্রভাবশালী এই ব্যাক্তি এমন রাম রাজত্ব কায়েম করে চল্লেও ভূক্তভগীরা প্রতিবাদ করতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে হচ্ছে তাছাড়া প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করছে । এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্য শ্যামনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভগি এলাকাবাসী হয়ে আব্দুল বারী ও মশিউর রহমান নামের দুই ব্যাক্তি তবে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনের বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।স্থানীয় ভূক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন পানি উঠানোর সুইচ গেটটি যদি বন্ধ হতো তাহলে আমাদের গ্ৰামবাসী একটু স্বস্তি পেতাম জমিতে ধান চাষ সহ সিজন ফসল করতে পারতো কিন্তু লোনা পানির জন্য কিছুই আমাদের হচ্ছে তাছাড়া আমার পড়েছি এক চরম দুর্ভোগে একই এলাকার আরেক ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন তারা যদি আউটড্রেন করে ঘের করতো তাহলে তাহলে আমাদের আজ এই অতিষ্ঠ জনজীবন থেকে বাঁচতাম। স্থানীয় একাধিক লোকের দাবি এই অবৈধ সুইচগেট বন্ধ হোক। এবিষয়ে অবৈধ সুইচগেট মালিক মালিক আব্দুল হাই তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার সুইচ গেট বৈধ আমার গেটের পানি তাদের কোন ক্ষতি করছে না । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার হোসেন বলেন আমি ওখানে লোক পাঠাচ্ছি।