• আজ- শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন

শ্যামনগরে ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় পাল্টা মিথ্যা ধর্ষণ মামলা

রিপোর্টারঃ / ৪২৭ বার ভিজিট
আপডেটঃ মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণের মামলা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারী রাতে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাদি হয়ে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া তার কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শ্যামনগর থানায় ঐ মামলা করেন। এ ঘটনায় পুর্ববর্তী সেই মামলার স্বাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমান বকুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আসামীরা ষড়যন্ত্রমুলকভাবে এ মামলা করেছে।

জানা যায় উপজেলার সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামের রেজাউল করিম তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ জুলাই ২৩ তারিখে প্রতিবেশী মাহফুজুর রহমানের ছেলে মুনতাসির মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলায় একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বকুলকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়।

অভিযোগ স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় শুরু থেকে আসামী পক্ষ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদিকে চাপ দিতে থাকে। তবে সম্মত করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলায় জড়ানোর হুমকি পেয়ে বাদি রেজাউল করিম গত ৩০ নভেম্বর ২৩ তারিখে শ্যমানগর থানায় ২৪৭২ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। এসময় অব্যাহত হুমকির মুখে প্রধান স্বাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমান বকুলও শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এদিকে গত ৮ জানুয়ারী উত্তর কদম তলা গ্রামের মরিয়ম বেগমের দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া বিবাহিতা মেয়ে প্রেমিক খানজাহান আলীর সাথে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে ঐ নারী বাদি হয়ে ১১ জানুয়ারী খানজাহান আলীসহ মোস্তাফিজু রহমান বকুলের বিরুদ্ধে মামলা (যার নং ২০)করেন।

মরিয়ম বেগম জানান কলেজ থেকে ফেরার পথে খানজাহান আলী তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। বিকালের দিকে বাড়িতে ফিরে এলেও স্বামীর বাড়িতে না যেয়ে মোস্তাফিজুরের পরামর্শমত প্রেমিকের হাত ধরে চলে যায় সে।

রিপন গাজী বলেন আগের একটি বিয়ের ঘটনা লুকিয়ে তার সাথে মেয়ের বিয়ে দেন মরিয়ম বেগম। ঘটনার দিন শশুরবাড়িতে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন দাবি করে জানান তার স্ত্রীকে কেউ অপহরণ করেনি। বরং পুর্ব পরিচিতি প্রেমিক খানজাহান আলীর সাথে পিতার-মাতার চোখের সামনে দিয়ে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।

গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমানের বড় ভাই হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন পুর্ববর্তী ধর্ষণ মামলা মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আসামীরা তাদের নিকটাত্বীয় মরিয়ম বেগমকে প্রভাবিত করে মামলা করিয়েছে। জামাই রিপন গাজী নিজে প্রেমিকের সাথে তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও উদ্দেশ্যমুলকভাবে ঐ মামলা দায়ের হয় বলেও তিনি করেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন তার স্বামীকে কথা বলার জন্য থানায় ডেকে নেয়া হয়। পরবর্তীতে মিথ্যা ধর্ষণের একটি মামলায় তাকে গ্রপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে স্বামীর দ্রুত মুক্তির দাবি করেন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনিচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে প্রকৃত সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

 

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (রাত ১:৪০)
  • ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)