নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ছোট পরিসরে প্রমথ ভ্রমণ। একদিনের জন্য কলাগাছিয়া দোবেকি সহ অন্যান্য জায়গায় যেতে পারবেনা পর্যটক পরিবহনকারী বোর্ডগুলো। তবে যথারীতি বিভাগীয় অফিস থেকে অনুমতি নেওয়া পর্যটক বাহী বোর্ড/ট্রলার সুন্দরবনে প্রবেশে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৪ই জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুড়ি গোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আলম বলেন, অধিকাংশ র্বোড মাঝিরা অত্যন্ত সুচতুর ভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। প্রত্যেকটি বোর্ডে ডাস্টবিন রাখার কথা বললেও সেটি যথাযথভাবে ব্যবহার না করে নদী দূষণ করা হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমন অনেকগুলো মৌখিক কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ছোট পরিসরে সুন্দরবন ভ্রমণ। অন্যদিকে ট্রলার মালিকরা বলছেন, সরকারি সকল নিয়ম মেনেই পর্যটকদের ঘোরানো হয় তবে কিছু কিছু পর্যটক এক বা তার চেয়ে কম সময়ে ঘুরতে চাইলে লোকালয়ের পাশ দিয়ে ঘোরানো হয় এবং সেটা বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে। নদী দূষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যত সম্ভব চেষ্টা করি যাতে পর্যটকরা নদীতে কিছু না ফেলায়। পর্যটকরা যেটা নদীতে ফেলে সেটা খুবই সামান্য পরিমাণ। আমাদের লোকালয়ে অধিকাংশ বাড়ির বর্জ্য সুন্দরবনের নদীতে ফেলায়, যার কারণে নদী অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে। হঠাৎ এমন বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন ট্রলার মালিকসহ পর্যাটকরা। শীতের শুরু থেকে প্রচুর পরিমাণ পর্যাটক সুন্দরবন ভ্রমন করে। চলতি বছর পদ্মা সেতু নির্মাণের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছিলেন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ। এবছর সাতক্ষীরার পর্যাটন শিল্প তথা সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যাটকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আকস্মিক বন্ধে কিছুটা হলেও মুখ থুবড়ে পড়বে এই শিল্প।পর্যাটকদের দাবি অতি অল্প সময়ে বোর্ড মালিক ও বনবিভাগ সমন্বয় করে আবার শুরু হোক সুন্দরবন ভ্রমন।